খলিফা হারুনুর রশীদ ও বাহলুল পাগলের ঘটনা

 

বাদশা হারুনুর রশিদ এর ঘটনা | বাহলুল পাগলের ঘটনা



খলিফা হারুনুর রশীদ ও বাহলুল পাগলের ঘটনা
বাহলুল পাগলের ঘটনা

খলিফা হারুনুর রশীদ ও বাহলুল পাগলের ঘটনা 


আবদুল্লাহ ইবনে মেহরান বর্ণনা করেছেন, একবার হারুনুর রশীদ হজ্জ সমাপন করে কুফায় এসে অবস্থান করেন। তারপর তার প্রস্থান ঘোষণা করা হল। তা' শুনে বহু লোকজন এসে সমবেত হল। বাহলুল নামক এক সুপরিচিত পাগল ছিল। সেও এসে বসে গেল। এমন সময় খলীফা উটের পিঠে চাদোয়াযুক্ত হাওদায় বসে রাস্তায় বের হলেন। বাহলুল পাগল উচ্চৈঃস্বরে ডাক দিয়ে বলল, হে আমীরুল মু'মিনীন! খলীফা বাহলুলকে বেশ ভাল করেই জানতেন। 

তিনি স্বীয় মুখের উপর থেকে পর্দা সরিয়ে বললেন, লাব্বাইকা ইয়া বাহলুল! বাহলুল বলল, হে আমীরুল মুমিনীন! আমি হাদীস শুনেছি মায়মান ইবনে তাবেল থেকে, তিনি শুনেছেন কেদামাত ইবনে আবদুল্লাহ আমেরী থেকে। তিনি বলেছেন, আমি হুযুরে পাক (দঃ)কে আরফা থেকে হজ্জ্ব সেরে প্রত্যাবর্তন করতে দেখেছি। তিনি তখন উষ্ট্রের পিঠে সওয়ার ছিলেন; কিন্তু সে সময় কোন হুজ্জুম বা হৈ হুল্লোড় ছিল না, ধস্তাধস্তি বা ছুটাছুটি বা কোনরূপ শোরগোলও ছিল না। আমীরুল মুমিনীন! এ সফরে আপনার নম্রতা প্রদর্শন করা উত্তম। অহঙ্কার এবং জুলুম-অত্যাচারমূলক কোন কাজ করা ঠিক নয়। খলীফা বাহলুলের একথা শুনে কেঁদে দিলেন। তারপর তাকে লক্ষ্য করে বললেন, বাহলুল! আল্লাহ তোমার প্রতি রহম করুন। তুমি আমাকে আরও কিছু শোনাও। বাহলুল বলল, আমীরুল মুমিনীন! আল্লাহ যাকে ধন-সম্পদ এবং দৈহিক সৌন্দর্য দান করেন। অতঃপর সে ঐ ধন-সম্পদ সদকাহ-খয়রাত করে এবং দৈহিক সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে সংযম অবলম্বন করে তাকে আল্লাহ্তায়ালার খাস দপ্তরে পুণ্যবানদের তালিকাভুক্ত করে নেয়া হয়। খলীফা বললেন, বাহলুল! তুমি অত্যন্ত মূল্যবান কথা বলেছ।

 তারপর খলীফা বাহলুলকে কিছু পুরস্কার দিতে চাইলেন কিন্তু বাহলুল তা গ্রহণ না করে বলল, আপনি এটা যার বা যাদের কাছ থেকে গ্রহণ করেছেন তাকে বা তাদেরকেই ফেরত দিয়ে দিন। আমার এতে কোন দরকার নেই। খলীফা বললেন, তোমার যদি কোন ঋণ থেকে থাকে, বল আমি তা' শোধ করে দেই। খলীফার একথার জবাবে বাহলুল পাগল বলল, আমীরুল মু'মিনীন! কুফার সমস্ত আলিম এ ব্যাপারে একমত, ঋণ পরিশোধের জন্য আর এক ঋণ করা সঙ্গত নয়। খলীফা বললেন, আচ্ছা! তাহলে আমি তোমার জন্য কিছু ভাতা নির্ধারণ করে দেই যাতে তোমার খোর-পোষের কোন চিন্তা না থাকে। এবার বাহলুল আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, আমীরুল মু'মিনীন! আমি ও আপনি উভয়েই আল্লাহ্ তায়ালারই পরিবারভুক্ত। এমতাবস্থায় এটা কি করে সম্ভব যে, আল্লাহ আপনাকে স্মরণ রাখবেন আর আমার প্রতি তাঁর খেয়াল থাকবে না? বাহলুলের কথা শুনে খলীফা হারুনুর রশীদ সম্পূর্ণ নীরব হয়ে গেলেন। আর কোন কথা না বলে তিনি সম্মুখের দিকে অগ্রসর হতে লাগলেন।

 👇

হযরত ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)

এহ্ইয়াউ উলূমিদ্দীন




ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি | হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ)



ইসলামিক উক্তি
ইসলামিক উক্তি



 


ইসলামিক উপদেশ মূলক কথা - ইসলামিক বাক্য | Islamic Status Bangla




আল্লাহর নৈকট্য কিভাবে লাভ করা যায়


ইসলামিক উপদেশ - হযরত শেখ আবদুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ফরমাইয়াছেন, আমাকে স্বপ্নের মধ্যে একজন বৃদ্ধলোক প্রশ্ন করিয়াছেন যে, কোন্ জিনিষের দ্বারা বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করিতে পারে? উত্তরে আমি বলিলাম ইহার শুরুতে ও শেষ আছে। ইহার শুরু হইতেছে পরহেজগারী ও আল্লাহর ভয় এবং উহার শেষ হইতেছে আল্লাহর কাজে রাজী থাকা, আত্মসমর্পণ  করা ও আল্লাহর উপর ভরসা করা। 
👇
ফতুহুল গয়ব🥀

সেরা ইসলামিক উক্তি গুলো পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। ইনশাআল্লাহ্


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url