মৃত মানুষের সাথে স্বপ্নে কথোপকথনের কাহিনী


যারা মৃতদের সঙ্গে স্বপ্নযোগে কথা বলেছেন - ইসলামিক সত্য ঘটনা - পর্ব ১



হযরত ওমর (রাঃ) এর সঙ্গে স্বপ্নযোগে কথোপকথন।
 স্বপ্নযোগে কথোপকথন।



অনেক সময় মানুষ মৃত ব্যক্তিকে স্বপ্নে দেখে




আরো পড়ুনঃ

ইমাম হযরত আবু হানিফা (রহঃ) এর জীবনী।


হযরত ওমর (রাঃ) এর সঙ্গে স্বপ্নযোগে কথোপকথন।



 হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) বর্ণনা করেন, যখন আমীরুল মোমেনীন ওমর (রাঃ) ইন্তেকাল করেন, আমার সর্বদা আকাঙক্ষা ছিল, আল্লাহ তাআলা যেন স্বপ্নে তাঁর অবস্থা সম্পর্কে আমাকে অবগত করান। একবার আমি বড় একটি ভবন স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করলাম-এ ভবন কার? লোকেরা বলল, হযরত ওমরের (রাঃ)। ইতিমধ্যে হযরত ওমর (রাঃ) ঐ ভবন থেকে নেমে আসলেন। আমি অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, যদি আমার প্রভু পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল না হতেন তবে আমি ধ্বংস হয়ে যেতাম। আমি বললাম- আপনার উপর কি অবস্থা অতিবাহিত হয়েছে? তিনি বললেন- আমি আজ কত দিন ইন্তেকাল করেছি? আমি বললাম, বার বছর। তিনি বললেন, এই মাত্র হিসাব দিয়ে বের হয়েছি।

👇

-(নূরুসসুদূর-১৮৫, ১৮৬)


হযরত আবু আবদুল্লাহ বর্ণনা করেন, আমার চাচার ইন্তেকালের পর আমি তাঁকে স্বপ্নে দেখি, তিনি বলছেন, দুনিয়া একেবারেই বোকা, আর পরকাল নেককারদের খুশীর ঘর। দৃঢ় বিশ্বাসের সমতুল্য ও মুসলমানদের সহানুভূতির সমান কোন কিছু আমি দেখিনি। সৎ কাজকে হীন মনে করো না। আর যেকোন ভাল কাজ কর, মনে করবে এটা আমার শেষ আমল।-

👇

(নূরুসসুদূর-১৮৬)




 
মারা গেছে এমন কারো সাথে কথা বলার স্বপ্ন


হযরত মায়মুন কুরদী বর্ণনা করেন, আমি হযরত ওরওয়া (রাঃ)-কে তাঁর মৃত্যুর পর স্বপ্নে দেখি, তিনি বলেন- অমুক পানি বিক্রয়কারী আমার কাছে একটি দেরহাম পাবে, ঐ দেরহামটি আমার ঘরের আলমিরাতে আছে, তা দিয়ে দাও। সকালে আমি পানি বিক্রয়কারীকে জিজ্ঞেস করলাম, ওরওয়ার কাছে তুমি দেরহাম পাবে নাকি? সে বলল- হাঁ, এক দেরহাম বাকী আছে। আমি সাথে সাথে ওরওয়ার ঘরে গিয়ে আলমিরা থেকে দেরহাম নিয়ে তাকে দিয়ে দিলাম।




কুফা শহরবাসী এক ব্যক্তি বর্ণনা করেন, আমি সুওয়াইদ ইবনে আমরকে মৃত্যুর পর দেখি, খুব ভাল অবস্থায় জাঁকজমকের সাথে আছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম হে সুওয়াইদ! এ সম্মান আপনি কিভাবে লাভ করলেন? বললেন- আমি খুব বেশী বেশী “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” পড়তাম। তুমিও পড়ো। 

👇

(নুরুসসুদূর-১৮৬, ১৮৭)


শোআবুল ঈমানে মোতাররেফ ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছেতিনি বলেন, আমি একবার এক কবরস্থানে গিয়ে কাছে অবস্থিত মসজিদে দু'রাকআত নামায পড়ে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়লাম। কবরের মৃত ব্যক্তি আমাকে বলল, তুমি দু'রাকআত নামায পড়ে মনে মনে ভাবছ যে, খুব সংক্ষেপে পড়ে ফেলেছ। আমি বললাম- হাঁ। সে বলল- তোমরা তো আমল করছ, অথচ এর ফযীলত জান না। আর আমরা আমলের ফযীলত জানি কিন্তু আমল করতে পারছি না। তোমাদের নামাযের মত আমরা যদি এখানে দু'রাকআত নামায পড়তে পারতাম, তাহলে আমাদের জন্য সারা দুনিয়া থেকে তা উত্তম হত। অতঃপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এ কবরস্থানে কারা আছে? সে বলল, যারা আছে সবাই মুসলমান ও নেককার। আমি জিজ্ঞেস করলাম, সবচেয়ে উত্তম কে? সে এক কবরের দিকে ইশারা করে বলল- এ কবরবাসী। আমি মনে মনে বললাম, হে আল্লাহ! এ কবরের মৃত ব্যক্তির সাথে যদি একটু কথা বলতে পারতাম! এরূপ বলতেই কবর ফেটে এক যুবক বের হল। আমি তাকে বললাম, আপনি নাকি এখানে সকলের থেকে উত্তম অবস্থায় আছেন। সে বলল হাঁ। এদের সবার এ ধারণা। আমি বললাম, আপনার বয়স কম, আর হজ্ব, ওমরা, জেহাদ ও অন্যান্য আমল করেছেন এমনও মনে হয় না। বলুন তো কোন্ আমলের কারণে আপনি এ সম্মান লাভ করেছেন? তিনি উত্তর দিলেন, আমার উপর বেশী বেশী বিপদ আসত। আল্লাহ্ রাবুল আলামীন আমাকে ধৈর্যের তওফীক দিয়েছিলেন। এ কারণে আমার এ সম্মান মিলেছে। 

👇

 (নূরুসসুদূর ফী শরহিল কুবুর, ১৮৭–১৮৮)




হযরত মাওলানা তারিক জামিল হুজুরের চমৎকার বয়ান. 

👇

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url