মৃত্যুর সময় শয়তান যেভাবে ধোঁকা দেয়

 মৃত্যুর সময় শয়তান যেভাবে ধোঁকা দেয় | শয়তানের কাহিনী





মৃত্যুর সময় শয়তান যেভাবে ধোঁকা দেয়
 মৃত্যুর সময় শয়তান যেভাবে ধোঁকা দেয়



শয়তানের ওয়াসওয়াসা



ইমাম আবু জাফর কুরতুবীর মৃত্যু এবং শয়তানের উপস্থিতি।


 ইমাম আবু জাফর কুরতুবীর মুমূর্ষাবস্থায় উপস্থিত লোকগণ বললেন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ পড়ুন। তিনি উত্তরে বললেন, না। কিছুক্ষণ পর যখন তিনি হুশে আসলেন, চক্ষু খুললেন, তখন লোকেরা আরয করলেন, কালেমায়ে তাইয়্যেবার তালকীনের উত্তরে আপনি 'না' বললেন কেন? তিনি বললেন, আমি তোমাদের কালেমায়ে তাইয়্যেবার তালকীনের উত্তরে এ শব্দ বলিনি; বরং দু'টি শয়তান আমার সম্মুখে দাঁড়ানো ছিল, একটি বলছিল আমাকে খৃস্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করার জন্য, আমি উত্তরে বলেছি “না, না”। অতঃপর বললেন- তোমরা কি এখন আমাকে এ সবক পড়াচ্ছ, অথচ আমি স্বয়ং নিজ কলমে তিরমিযী ও নাসাঈ শরীফে নবী করীম (সাঃ)-এর এ হাদীস লেখেছিঃ

ان الشيطان ياتي احدكم قبل موته فيقول له مت يـهـوديـا  ونـصـرانـيـا

অর্থঃ তোমাদের কারো কারো নিকট মৃত্যুর পূর্বে শয়তান এসে বলতে থাকে, ইহুদী হয়ে খৃষ্টান হয়ে মৃত্যুবরণ কর।

ইমাম কুরতুবী উল্লিখিত ঘটনা বর্ণনা করার পর বলেন, এ প্রকারের ঘটনা অনেক বুযুর্গের মৃত্যুর সময়ই ঘটেছে। তারা কালেমায়ে তাইয়্যেবার তালকীনের সময় কালেমা পড়তে অস্বীকার করতে থাকেন, এ হযরত মুজাহিদ (রঃ) বলেন, র দ্বারা প্রত্যক্ষদর্শীরা তো মনে করেন যে, কালেমা বলতে অস্বীকার করেছেন। অথচ প্রকৃতপক্ষে ঐ বুযুর্গগণ শয়তানের কথা অস্বীকার করেছেন। হযরত মুজাহিদ (রঃ) বলেন, মোমেনের যখন মৃত্যু সন্নিকটে এসে যায়, তখন তার বন্ধু-বান্ধব ও সাথী-সঙ্গীদেরকে তার সামনে আনা হয়। যদি মুমূর্ষু ব্যক্তি খেলাধুলাকারী হয় তখন তার সম্মুখে খেলাধুলাকারীদেরকে আর সে যদি আল্লাহর স্মরণকারী হয় তবে আল্লাহর স্মরণকারীদেরকে উপস্থিত করা হয়।
👇
(মোখতাসার তাযকেরায়ে কুরতুবী, পৃঃ ১২)
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url