মুত্তাকীদের জন্য দশটি উপদেশ

 

মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্য | মুত্তাকী হওয়ার উপায়



মুত্তাকীদের জন্য দশটি উপদেশ
                              মুত্তাকী হওয়ার উপায়




মুত্তাকীদের জন্য দশটি উপদেশ 💕


হযরত বড়পীর (রহঃ) মুত্তাকীগণের জন্য দশটি অমূল্য উপদেশ দান করিয়াছেন। নিম্নে তাহা উদ্ধৃত করা হইল :


১। প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য ও জাহেরী-বাতেনী সমুদয় পাপরাশি বর্জন কর ও নিজের অঙ্গাবয়ব হেফাজত কর। তবে অতি সত্বরই তোমার অন্তর প্রদেশে তোমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ইহার সুন্দর প্রতিক্রিয়া পরিস্ফুট হইয়া উঠিবে।


২। স্বীয় জীবিকা সংস্থানের দায়-দায়িত্ব অন্য কাহারও উপর ন্যস্ত করিও না। ইহা পুরাপুরি আল্লাহর দায়িত্ব। তবেই তুমি ‘আমরু বিল মারুফ' এবং 'নেহি আনিল মুনকার’-এর দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে পালন করিতে সক্ষম হইবে। আর সৎকাজে নির্দেশও অসৎ কাজে নিষেধের মধ্যেই শ্রেষ্ঠ ও পরম সম্মান রহিয়াছে। আর ইহাতে দৃঢ় বিশ্বাস ও আত্মনির্ভরশীলতার পরিমাপ সর্বাংশে সহজ হইবে।


৩। মানুষের নিকট সামান্য আশা-আকাঙ্ক্ষা করা হইতে বিরত থাকিও। কেননা ইহাতে সম্মান, মর্যাদা, নির্ভরশীলতা ও শ্রেষ্ঠত্ব নিহিত রহিয়াছে। আর ইহা দ্বারা, যোহদ ও অরা অর্থাৎ অনর্থক কাজ, কথা ও চিন্তা ভাবনা হইতে মুক্তি লাভ করিবে।


৪। কোন মুসলমানকে নিশ্চিতভাবে মুনাফিক বা কাফির বলিতে নাই। ইহাই সুন্নত তরীকা। আল্লাহ্ ছাড়া কেহই–কে মুনাফিক, কে মুশরিক এবং কে কাফির তাহা জানে না। যদি এই ধরনের পরিচয়ে কাহাকেও অভিষিক্ত না করিতে পার তবে আল্লাহর জ্ঞানে অনধিকার চর্চা হইতে পরিত্রাণ লাভ করিতে পারিবে এবং আল্লাহর রহমত লাভে কৃতার্থ হইতে পারিবে।


৫ । কাহাকেও বদদোয়া ও অভিসম্পাত করিও না। ধৈর্য ও সংযমের সহিত তোমার উপর আপতিত অবিচার ও দুঃখ কষ্ট সহ্য কর। ফলে লোকজন তোমাকে মহব্বত করিবে ও ভক্তি-শ্রদ্ধার চোখে দেখিবে।


৬। বিনয়, নম্রতা, শিষ্টাচার ও আদবের মধ্যেই ধর্মভীরুতা ও সর্বাধিক মর্যাদা নিহিত আর যাবতীয় ইবাদত ঐগুলির সহিত সংশ্লিষ্ট আছে, ইহা অবলম্বন কর। কেননা স্বভাব-চরিত্র দ্বারাই ভাললোকের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যায়।


৭। আর কাহাকেও অভিশাপ ও বদদোয়া দিও না। সত্যপরায়ণ ও পুণ্যবান লোকদের ইহাই কাজ। তবেই আল্লাহ্ পাক তোমার মর্যাদা সমুন্নত ও অক্ষুণ্ন রাখিবেন এবং অন্যের অনিষ্টকারিতার ও ক্ষতি হইতে বাঁচাইয়া রাখিবেন।


৮। মিথ্যা কথা বর্জন কর। হাসি-তামাসা, ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও কৌতূক সহকারে কখনও মিথ্যা কথা বলিও না। যদি সত্য কথা বলিবার অভ্যাস আয়ত্ব করিয়া লইতে সক্ষম হও, তবে আল্লাহ্ পাক তোমাকে রূহানী দৃষ্টিশক্তি ও এলেম প্রদান করিবেন।


৯। আল্লাহর নাম লইয়া শপথ করিও না। হুঁশিয়ার, তোমার জিহ্বা হইতে যেন ‘আল্লাহর নাম লইয়া শপথ বাক্যটি উচ্চারিত না হয়। এই নসীহত অনুসারে নিজের স্বভাবকে গঠন করিতে পারিলে তোমার অন্তরলোকে আল্লাহর নূরের জ্যোতির দরজা উন্মুক্ত হইবে এবং তুমি উচ্চ মর্যাদায় সমাসীন হইবে। আর সৎকর্মের স্পৃহা ও শক্তি বৃদ্ধি পাইবে এবং আকাঙ্ক্ষা দীর্ঘস্থায়ী হইবে।


১০। শপথ ও প্রতিজ্ঞা করা হইতে বাঁচিয়া থাক। ইহাতে তোমাকে বদান্যতা ও লজ্জাশীলতার শ্রেষ্ঠ মর্যাদা দান করা হইবে।

👇

বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী 

                          রহমাতুল্লাহি আলাইহি 

(গুনিয়াতুত্ব ত্বালিবীন)



সততা নিয়ে ইসলামিক উক্তি - সততা নিয়ে কিছু কথা


সততা নিয়ে উক্তি - হযরত আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ
ইসলামিক উক্তি


     সততা নিয়ে উক্তি | সততা ও উপদেশ


হযরত শেখ আবদুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ফরমাইয়াছেন, যেই ব্যক্তি সততা ও পরিষ্কার অন্তঃকরণে তাহার মাওলার অর্থাৎ আল্লাহ'র হুকুম আহকামের প্রতি আমল করিবে সে সকাল বিকাল অর্থাৎ সর্বক্ষণ আল্লাহ ব্যতীত অন্য সবকিছু হইতে ঘৃণা পোষণ করিবে। হে কাওম, যেই বিষয়টি তোমাদের জন্য নহে তোমরা উহার জন্য দাবী বা খাহেশ করিও না। আল্লাহ'র একত্ববাদ তৌহিদ মানিয়া লও। তাঁহার সঙ্গে কাহাকেও শরীক করিও না।


তোমরা ভাগ্যতীরের লক্ষ্যস্থল হইয়া যাও যাহা তোমাদিগকে আহত করিবে, নিহত করিবে না। আল্লাহর পথে যাহারা বিলীন হয় তাহাদের জন্য আল্লাহ'র নিকট উহার প্রতিদান রহিয়াছে।


ফতুহুল গয়ব🥀

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url