ইসলামিক উপদেশ | উপদেশ বাণী | Motivational Speech
ইসলামিক উপদেশ মূলক কথা - ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি - ইসলামিক বাণী সমূহ
উপদেশ বাণী | Motivational Speech - হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)
হযরত গাউছে আজম (রহঃ)-এর উপদেশ
হযরত শেখ আবদুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ফরমাইয়াছেন, আমি তোমাকে অসিয়ত করিতেছি তাকওয়া অর্থাৎ আল্লাহর ভয় এবং তাঁহার বন্দেগীর উপর কায়েম থাক। অর্থাৎ সর্বদা আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁহার এবাদত কর। আর জাহেরী শরীয়তকে নিজের জন্য অপরিহার্য করিয়া লও। তোমার কলবকে পরিষ্কার রাখিও। নাফছকে বদান্যতার জন্য উদ্বুদ্ধ কর। চেহারাতে সর্বদা আনন্দের প্রকাশ কর। খুব খরচ কর। অন্যকে কষ্ট দেওয়া হইতে বিরত থাক। অন্য লোকের পক্ষ হইতে তোমার উপর কোন কষ্ট পৌছাইলে তাহা সহ্য করিবে এবং দারিদ্রতার কষ্ট সহ্য করিয়া থাকিবে। মাশায়েখের ইজ্জত রক্ষা করিও। ভাই বেরাদরের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করিও। ছোটদেরকে উপদেশ দিবে। বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ বর্জন করিও। অন্যের স্বার্থকে নিজের স্বার্থের উপর প্রাধান্য দেওয়াকে অপরিহার্য করিয়া লইবে। সম্পদ জমা করার অভ্যাস হইতে দূরে থাকিও। যাহারা আধ্যত্মিক পথিকদের দলভুক্ত নহেন তাহাদের সঙ্গ ত্যাগ করিবে। দ্বীন ও দুনিয়ার কাজে মানুষের সাহায্য করিও। প্রকৃত কাংগালী হইতেছে তুমি তোমার মত অন্য মাখলুকের দিকে মুখাপেক্ষী হওয়া। আর প্রকৃত ধনী হওয়ার অর্থ এই যে, তুমি তোমার ন্যায় অন্য মাখলুক হইতে বিমুখ হওয়া। তাসাউফ কথা বার্তার দ্বারা হাসিল করা হয় না। বরং ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করা এবং লোভনীয় ও নাফছের পছন্দনীয় বস্তুসমূহ হইতে ষোল আনা লোভ পরিহার করার দ্বারাই হাসিল হয়।
তরীকত ও সলুকের পথের যাত্রাকারী পথিক যে জ্ঞানের ফকীর তাহার নিকট হইতে সূচনাতেই আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রত্যাশা করিও না। নম্রতার ব্যবহার দ্বারাই তাহার সঙ্গে প্রথম ব্যবহার আরম্ভ করিও। কারণ প্রথম প্রথম আধ্যাত্মিক জ্ঞান তাহার নিকট অপরিচিত মনে হইবে এবং নম্রতা তাহার নিকট ভাল লাগিবে এবং তাহাকে তাসাউফের ইলমের সহিত পরিচিত করিয়া তুলিবে। ইলমে তাছাউফ আটটি খাছলত বা স্বভাবের উপর ভিত্তি রাখে। যাহা হইতেছে
১। হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর ন্যায় বদান্যতা অবলম্বন করা।
২। হযরত ইছহাক (আঃ)-এর ন্যায় আল্লাহর ফায়সালার প্রতি ও তাঁহার কাজের উপর সন্তুষ্ট থাকা অর্থাৎ রেজা বর কাজা।
৩। হযরত আইউব (আঃ)-এর ন্যায় ধৈর্য্য ধারণ করা।
৪। হযরত জাকারিয়া (আঃ)-এর ন্যায় গোপনে মুনাজাত
৫। হযরত ইয়াহইয়া (আঃ)-এর ন্যায় ছফর করা।
৬। হযরত মুছা (আঃ)-এর ন্যায় পশমী পোষাক পরিধান করা।
৭। হযরত ঈছা (আঃ)-এর ন্যায় ভ্রমণ।
৮। হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ন্যায় দারিদ্রতা অবলম্বন করা।
👇
(ফতূহুল গয়ব)
আল্লাহ ছাড়া অন্যের নিকট কিছু চাওয়া অতি মন্দ কাজ
![]() |
বড় পীরের বাণী |
বড় পীরের বাণী
হযরত শেখ আবদুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ফরমাইয়াছেন, কোন ব্যক্তি মানুষের নিকট ছওয়াল করেনা। কিন্তু কেহ যদি আল্লাহ্কে বাদ দিয়া মানুষের নিকট ছাওয়াল করে তাহা শুধু এই কারণেই করে যে, সে আল্লাহ সম্বন্ধে জাহেল, আল্লাহ্কে চিনিতে পারে নাই, তাহার ঈমান, মারফত, একীন দুর্বল। তাহার ধৈর্য্য নাই। এই কারণেই সে মানুষের নিকট তাহার হাজত পেশ করিয়া ছওয়াল করিয়া থাকে। আর যেই ব্যক্তি মানুষের নিকট সওয়াল করা হইতে বাঁচিয়া থাকে সে শুধু এই জন্যই যে, আল্লাহ্ সম্বন্ধে সে পুরাপুরি জ্ঞান রাখে, তাহার ঈমান ও একীন শক্তিশালী, আল্লাহ্ সম্বন্ধে তাহার মারফত যথেষ্ট এবং মুহূর্তে মুহূর্তে তাহার সেই পরিচিতি ও মারফত বৃদ্ধি পায় এবং উহা স্থায়ী হয়। আর আল্লাহ হইতে সে লজ্জা রাখে। অর্থাৎ অন্য কোন লোকের নিকট কিছু চাহিতে আল্লাহ্ হইতে তাহার লজ্জা হয়।
ফতুহুল গয়ব🥀

