তওরাতের উপদেশ - হযরত ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)


ফাজায়েলে আমল কিতাব - ফাজায়েলে আমল বাংলা


তওরাতের উপদেশ - হযরত ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
তওরাতের উপদেশ



ফাজায়েলে আ'মাল - মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি (রহঃ)


তওরাতের উপদেশঃ


ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) তওরাত কিতাব হইতে উদ্ধৃত করিয়াছেন, আল্লাহ পাক এরশাদ করিতেছেন, হে বান্দা! আমার বিষয়ে তোমার কি লজ্জ্বা হয় না? রাস্তায় চলিতে চলিতে তোমার হাতে যদি বন্ধুর কোন পত্র আসিয়া পড়ে তবে তৎক্ষণাৎ তুমি রাস্তার পাশে গিয়া বসিয়া পড় এবং এক একটি অক্ষরকে কত চিন্তা সহকারে পড়িতে থাক আর আমার কিতাব তোমার নিকট আসিয়াছে, উহাতে আমি স্পষ্টভাবে সব কিছুর বর্ণনা দিয়াছি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদিকে বারংবার উল্লেখ করিয়াছি । শুধু এই জন্য যে, তুমি একটু চিন্তা ফিকির করিয়া দেখিবে। অথচ তুমি উহার প্রতি ভ্রুক্ষেপও করিতেছনা। তবে কি আমি তোমার নিকট তোমার বন্ধুর চেয়েও নিকৃষ্ট হইয়া গেলাম? 

হে আমার বান্দা! বন্ধুর সহিত যখন তুমি কথা বলিতে বস কত ধ্যানের সহিত তাহার কথাগুলি শুনিতে থাক, ফিকির করিতে থাক। কথার মাঝখানে কোন ব্যক্তি তোমার সহিত কথা বলিতে চাহিলে ইশারায় তাহাকে চুপ করিতে বল । অথচ আমি কোরআনে পাকের সাহায্যে তোমার সহিত কথা বলিতেছি, কিন্তু তুমি উহার প্রতি বিন্দুমাত্রও ভ্রুক্ষেপ কর না। তবে কি আমি তোমার বন্ধুর চেয়েও নিকৃষ্ট হইয়া গেলাম? 
👇
ফাজায়েলে আ'মাল




আল্লাহ কাউকে নিরাশ করেন না - লা তাকনাতু মির রাহমাতিল্লাহ, 


মহান আল্লাহ্ তায়ালার রহমত হতে নিরাশ না হওয়া
আল্লাহ্ তায়ালা অতি মহান



দুই জাহান্নামি ব্যক্তির জান্নাত লাভের ঘটনা 


বেলালের পুত্র হযরত সাঈদ রাহেমাহুল্লাহ্ বলিয়াছেনঃ “কিয়ামতের দিন দুইজন পাপীকে দোযখের শাস্তি হইতে বাহির করিয়া আল্লাহ্ তা'আলার সম্মুখে আনয়ন করা হইবে। আল্লাহ্ তা'আলা তখন তাহাদিগকে বলিবেনঃ ‘তোমরা যে শাস্তি ভোগ করিয়াছ তাহা তোমাদের কৃত কর্মের ফলেই ভোগ করিয়াছ। আমি বান্দাদের প্রতি যুলুম করি না। আবার ফেরেশ্তাদিগকে নির্দেশ প্রদান করিবেনঃ ইহাদিগকে পুনরায় দোযখের দিকে লইয়া যাও।' এই আদেশ শ্রবণমাত্র পাপীদ্বয়ের মধ্যে একজন শৃঙ্খলাবদ্ধাবস্থায় তাড়াতাড়ি দোযখের দিকে চলিতে থাকিবে, অপর ব্যক্তি ধীরে ধীরে চলিবে ও থমকিয়া থমকিয়া দাঁড়াইয়া পশ্চাদ্দিকে তাকাইবে। দয়াময় আল্লাহ্ তা'আলা পুনরায় উভয়কে ডাকিয়া আনিয়া জিজ্ঞাসা করিবেন, 'তোমাদের এরূপ করিবার কারণ কি?’ দ্রুত ধাবমান ব্যক্তি বলিবেঃ “হে দয়াময়! পৃথিবীতে তোমার আদেশ লঙ্ঘনপূর্বক পাপ কার্য করার দরুন এই শাস্তি ভোগ করিতেছি, তাহাতে আমি এত ভীত হইয়াছি যে, এখন তোমার আদেশ পালন করিতে ত্রুটি করার সাহস হইতেছে না, কি জানি আদেশ লঙ্ঘন করিলে ইহা অপেক্ষা কঠিনতর শাস্তি ভোগ করিতে হইতে পারে, এই ভয়েই প্রাণপণে দৌড়াইবার চেষ্টা করিয়াছিলাম।' দ্বিতীয় ব্যক্তি বলিবেঃ ‘হে করুণাময়! আমি তোমার দরবার হইতে উচ্চ আশা পোষণ করিতেছি। দোযখ হইতে নিষ্ক্রান্ত করিয়াছ দেখিয়া মনে করিলাম, আমার ধারণা ও আশা সফল হইয়াছে। (কিন্তু তুমি আমাদের প্রতি পুনরায় দোযখে লইয়া যাওয়ার আদেশ প্রদান করিলে তোমার আদেশ পালনে উদ্যত হইলাম। তথাপি প্রতি ধাপে ধাপেই তোমার করুণার প্রত্যাশা করিতেছি।) তুমি দয়া করিয়া একবার যখন দোযখের শাস্তি হইতে আমাদিগকে বাহির করিয়াছ, তখন আর পুনরায় হয়ত আমাদিগকে দোযখে প্রেরণ করিবে না।' (এই আশায় এখন আশান্বিত রহিয়াছি। সেই আশার উপর নির্ভর করিয়াই তোমার করুণা-সিন্ধুর প্রতি ফিরিয়া ফিরিয়া তাকাইতেছি।) ইহা শুনিয়া দয়াময়ের দয়ার সাগরে তরঙ্গ উঠিবে এবং তৎক্ষণাৎ তিনি তাহা দিগকে বেহেশতে লইয়া যাওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন।”

👇

হযরত ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)

(কিমিয়ায়ে সা'আদাত)

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url