বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) - এর বাণী

অলিদের বাণী - বড় পীরের বাণী 



বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) - এর বাণী
মোটিভেশনাল কথা





 আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকা ব্যক্তিকে সওয়ালকারী ব্যক্তি অপেক্ষা উত্তম জিনিষ দান করেন







একটি সুন্দর পোস্টঃ

বিশ্ব নবীর ﷺ মোজেজা


হযরত শেখ আবদুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলিয়াছেন যে, হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেনঃ আল্লাহ তা'আলা এরশাদ করিয়াছেন, "যেই ব্যক্তি আমার জিকিরে মশগুল থাকার কারণে আমার জিকির তাহাকে আমার নিকট প্রার্থনা ও সওয়াল করা হইতে বিরত রাখিয়াছে আমি তাহাকে ঐ ব্যক্তি হইতে উত্তম জিনিষ দান করিয়া থাকি যাহা আমি প্রশ্নকারী ও ছওয়ালকারীগণকে দিয়া থাকি।”


সেই মুমেনকে যখন আল্লাহ্ তা'আলা সম্মানিত ও নির্বাচিত করিবার ইচ্ছা করেন তখন তাহাকে বিভিন্ন অবস্থায় পরিচালিত করেন এবং তাহাকে নানাহ দুঃখ কষ্ট ও বালা মুছীবত দ্বারা পরীক্ষা করেন। যথা- তাহার ধন সম্পদ ছিনাইয়া নিয়া তাহাকে দারিদ্রতায় ফেলেন, মানুষের নিকট রিজিকের জন্য সওয়াল করিতে বাধ্য করেন যখন তাহার সমস্ত উপায়ের পথ বন্ধ হইয়া যায়। তারপর আল্লাহ পাক তাহাকে মানুষের নিকট সওয়াল করা হইতে রক্ষা করেন, তারপর তাহাকে মানুষের নিকট ঋণ করার মুখাপেক্ষী করেন। কিন্তু ইহা হইতেও আল্লাহ পাক তাহাকে রক্ষা করেন। তারপর তাহাকে উপার্জনের দিকে ফিরাইয়া দেন এবং উপার্জনের উপায় ও ব্যবস্থাকে তাহার জন্য সহজ করিয়া দেন, তখন সে নিজ উপার্জনের দ্বারাই খায়, যাহা আল্লাহর রাছুলের সুন্নত তরীকাতারপর তাঁহার জন্য উপার্জন কঠিন করিয়া দেন এবং মানুষের নিকট সওয়াল করার আকাংক্ষা তাহার অন্তরে ঢালিয়া দেন। অপরদিকে তাহাকে এমন কিছু গোপনীয় আদেশ করেন যাহা সে জানিতে পারে এবং বুঝিতে পারে তখন উহার মধ্যেই তাহার এবাদত ধরা হয় এবং গুনাহ বর্জন করা হয়। এইরূপ করা হয় তাহার খাহেশ দূর করার জন্য এবং তাহার নাফছকে চুর্ণবিচূর্ণ করার জন্য। ইহাকেই বলা হয় রিয়াজতের হালাত।


তখন মানুষের নিকট তাহার সওয়াল বাধ্যতামূলক হয়। আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা হিসাবে নয়। তারপর ইহা হইতেও আল্লাহ পাক তাহাকে বাঁচাইয়া রাখেন। তারপর তাহাকে মানুষের নিকট হইতে কর্জ লওয়ার জন্য এমন ভাবের কড়া আদেশ করেন যাহা বর্জন করা সম্ভব হয় না যেমনি ইতিপূর্বে মানুষের নিকট প্রশ্ন করার জন্য আদেশ করা হইয়াছিল।



 তারপর এই অবস্থার পরিবর্তন করিয়া দেন এবং মানুষ হইতে সম্পূর্ণভাবে তাহার অন্তরকে আলাদা করিয়া দেন। তখন শুধু আল্লাহর নিকট সওয়াল করার মধ্যে তাহার রিজিক নির্ধারিত করেন। তখন বান্দা তাহার যাবতীয় প্রয়োজনে একমাত্র আল্লাহর নিকটই প্রার্থনা করে। তখন সে যাহা প্রার্থনা করে উহা তাহাকে আল্লাহ পাক দান করেন। আর যাহা প্রার্থনা করিবে না তাহা দিবেন না এবং প্রার্থনা না করিয়া চুপ থাকিলেও দিবেন না।


তারপর এই অবস্থার পরিবর্তন করিয়া জবানী সওয়াল করা হইতে অন্তরের সওয়ালের দিকে ফিরাইয়া দেন। তখন বান্দা তাহার যাবতীয় প্রয়োজনের কথা তাহার অন্তরের দ্বারা সওয়াল করে। তখন আল্লাহ পাক তাহাকে উহা দান করেন। এমনকি যদি জবানে কোন সওয়াল করেন তখন উহা তাহাকে দান করেন না। অথবা যদি মাখলুকের নিকট সওয়াল করে তখন তাহাকে উহাও দেওয়া হয় না। তারপর তাহাকে অন্তরের সওয়াল ও অন্যান্য জাহের বাতেনের যাবতীয় সওয়াল হইতে মুক্ত করা হয়। বেপরওয়া করিয়া দেন।


তারপর তাহার উপযোগী খাদ্য, পানীয় বস্তু, পোশাক ও মানবীয় যাবতীয় প্রয়োজনীয় বিষয়াদি দান করেন। এই সব কিছু তাহাকে এমতাবস্থায় দেওয়া হয় যে, সে ঐ সব বিষয়ের সওয়াল বা চেষ্টার মধ্যে থাকে না অথবা তাহার অন্তরে উহার কল্পনাও হয় না। আল্লাহ্ তা'আলা তাহার ভরণ পোষণ ও যাবতীয় প্রয়োজনের দায়িত্বভার নিজেই গ্রহণ করেন।


আল্লাহ তা'আলার এরশাদ ,



এর অর্থ ইহাই। আয়াতের অর্থ এই, "নিশ্চয় আমার অভিভাবক আল্লাহ তা'আলা যিনি কিতাব নাযিল করিয়াছেন এবং যিনি নেক্কারদের অভিভাবক হইয়া থাকেন।” এমতাবস্থায় আল্লাহর এই বাণী বাস্তবে পরিণত হয়। আর ইহা হইতেছে আউলিয়া ও আবদালগণের প্রথম হালাত। তারপর তাহাকে সৃজন ক্ষমতাও দেওয়া হয়। তখন বান্দার যাবতীয় প্রয়োজন আল্লাহর হুকুমেই হয় এবং তাঁহার ইচ্ছানুযায়ী হয়। এই মর্মে কোন কোন আসমানী কিতাবে উল্লেখিত আছে, আল্লাহ পাক এরশাদ করিয়াছেনঃ “হে আদম সন্তান! আমি আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন মাবুদ নাই। আমি কোন বস্তুকে বলি হইয়া যাও, তখন উহা হইয়া যায়, তুমি আমার এতায়াত বন্দেগী কর তাহা হইলে তুমিও যখন কোন বস্তুকে হওয়ার জন্য বলিবে ‘হইয়া যাও’ তখন উহা হইয়া যাইবে।” অর্থাৎ শুধুমাত্র আদেশ দ্বারা সৃজন করার ক্ষমতা তোমাকে দান করা হইবে।

 👇


ফতুহুল গয়ব 

হযরত মাওলানা তারিক জামিল হুজুরের চমৎকার বয়ান বাংলা অনুবাদ সহ

👇


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url