শয়তান থেকে নিরাপদ থাকার উপায় - হযরত ইমাম গাজ্জালী রহঃ

 শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার উপায় 


শয়তান থেকে নিরাপদ থাকার উপায় - হযরত ইমাম গাজ্জালী রহঃ
ইবলিশ 

ইমাম গাজ্জালী রঃ এর বাণী 




শয়তান নিয়ে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পোস্টঃ

👇

শয়তানের পরিচয় ও জিন শয়তান থেকে বাঁচার দোয়া

শয়তানের ধোঁকা | মৃত্যুর সময় শয়তানের ধোঁকা

 

শয়তান থেকে মুক্ত থাকা অসম্ভবঃ  শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়া বা মুক্ত থাকা-কিছু সময়ের জন্য তত কষ্টকর না হলেও তার থেকে স্থায়ীভাবে সারা জীবনের জন্য মুক্ত থাকা খুবই কষ্টকর বরং অসম্ভব। কেন না যদি তা সম্ভব হত, তাহলে হুযুরে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কোনরূপ কুমন্ত্রণা আসত না। অথচ দেখা যায়, তা এসেছে। হাদীস শরীফে আছে, হুযুরে পাক (দঃ) একদা নামাযের মধ্যে তাঁর পরিহিত বস্ত্রের নকশা তাঁর দৃষ্টিগোচর হলে এবং তিনি নামাযের বাদে সে বস্ত্র খুলে ফেললেন এবং বললেন, এই বস্তু আমাকে নামাযের মধ্যে অন্যমনস্ক করছে। এটা আমাকে যে দিয়েছে তার নিকট ফিরিয়ে দাও এবং আমার জন্য মামুলি বস্তু নিয়ে এস। আর একদিন খুৎবাহ্ পাঠ করবার কালে (যখন পর্যন্ত ইসলামে পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম হয়নি) তাঁর হাতে একটি স্বর্ণের আংটির উপর দৃষ্টি পতিত হলে, তিনি তা ফেলে দিয়ে বললেন, আমি একবার এ আংটির দিকে তাকাই আর একবার তোমাদের দিকে তাকাই এটা ওয়াসওয়াসার কারণে হয়েছিল। কেননা তিনি হাতের আংটিটি দেখে একটু আনন্দিত হয়েছিলেন।


পার্থিব ধন-সম্পদ ও মাল-সামান বর্জন ব্যতীত এই ওয়াসওয়াসা দূর হয় না। যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত এক দিনার মূল্যেরও কোন জিনিস থাকে শয়তান নামাযের মধ্যে তার চিন্তা হৃদয় মধ্যে এনে দেয় যে, কিরূপে তা সংরক্ষণ করব এবং কিভাবে তা নিরাপদ থাকবে ইত্যাদি। যে ব্যক্তি দুনিয়ায় শয়তান থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে গর্ব করে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে মধুর মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে ধারণা করে যে, তার দেহে মৌমাছি পতিত হবে না। এটা সম্পূর্ণ অবান্তর। দুনিয়া শয়তানের কুমন্ত্রণার জন্য একটি কেন্দ্রস্বরূপ।


জনৈক বিজ্ঞ বুযর্গ বলেছেন, শয়তান প্রথমে মানুষের নিকট পাপের আকৃতিতেই আগমন করে, কিন্তু তাতে বাধাপ্রাপ্ত হলে উপদেশ নিয়ে আসে, এমনকি তখন সে তাকে হেদায়েতের মধ্যে ফেলে তার উদ্দেশ্য সিদ্ধি করতে চায়। যদি সে তা গ্রহণ না করে তখন সে তাকে কষ্ট ও পরিশ্রম করতে আদেশ দেয়। এমন কি যা হারাম নয় তাও তাকে হারাম মনে করতে বলে। যদি সে তা গ্রহণ না করে তখন সে তার অজু ও নামাযের মধ্যে সন্দেহ উপস্থিত করে। যদি সে তা গ্রহণ না করে তখন সে তাকে অন্যদিক থেকে পথভ্রষ্ট করবার চেষ্টা করে। সে তখন তার উপর সৎকার্যকে সহজ করে দেয়। যেন তাতে লোকগণ তাকে ধৈর্যশীল ও সংযমশীল বলে জানে। তখন তাদের মন তার দিকে অনুরক্ত হয় এবং এর ফলে সে আত্মম্ভরিতা ও আত্মগৌরবের ফাসাদে পড়ে যায় এবং তদ্বারা শয়তান তাকে ধ্বংস করে। এ সময় শয়তান থেকে সতর্ক থাকা অধিক প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কেননা এটাই তার শেষ স্তর । শয়তান জানে যে, সে যদি এই স্তরটি অতিক্রম করতে পারে তবে সে সোজা বেহেশতের দিকে চলে যাবে।

👇

এহ্ইয়াউ উলূমিদ্দীন (৪র্থ খন্ড)

হযরত ইমাম গাজ্জালী রহঃ 

শয়তান এবং এক বুজুর্গ আবেদের ঘটনা - হযরত মাওলানা তারিক জামিল দাঃ বাঃ 
👇
 

Next Post Previous Post
2 Comments
  • বুজুর্গদের কথা
    বুজুর্গদের কথা ২ জুন, ২০২২ এ ৯:১৭ AM

    Hm

  • বুজুর্গদের কথা
    বুজুর্গদের কথা ২ জুন, ২০২২ এ ৯:১৯ AM

    সকল প্রশংসা এক মাত্র মহান আল্লাহ্ তায়ালার জন্য যিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন- আলহামদুলিল্লাহ্❣️

Add Comment
comment url